খবরের সময় ডেস্ক:
গাজীপুরে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে পুলিশ ও মুসল্লিসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। এসময় পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে হেফাজত নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
শুক্রবার (২ এপ্রিল) জুমার নামাজের পর মহানগরীর ব্যস্ততম চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও এলাবাসী সূত্রে জানা গেছে, হেফাজতে ইসলামের পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে জুমার নামাজের পর বিক্ষোভ মিছিল সহকারে মুসল্লিরা চান্দনা চৌরাস্তা ঈদগাহ ময়দানে সমবেত হন। পরে তারা মিছিল সহকারে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বের হওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের মাঠের মধ্যেই সমাবেশ করার অনুরোধ করে। পরে হেফাজত নেতাকর্মী ও মুসল্লিরা ঈদগাহ মাঠের ভেতর থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন। পরে পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে মুসল্লিদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে হেফাজত কর্মী ও মুসল্লিরা চান্দনা চৌরাস্তায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধের চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের ধাওয়া দেয়। এসময় হেফাজত কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এসময় তাদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে হেফাজত নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত ২০ জন হেফাজত কর্মী আহত হন। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। পরে চান্দনা চৌরাস্তা এলাকা থেকে হেফাজতে ইসলামের অন্তত ২০ জনকে আটক করা হয়।পুলিশ ও হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের সময় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে আধা ঘণ্টা সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ থাকে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি জাকির হাসান জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। প্রতিপক্ষের ইট-পাটকেলে কমপক্ষে আটজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় ২০ জনকে আটক করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
হেফাজতে ইসলামের গাজীপুর জেলা কমিটির যুগ্ম-সম্পাদক মুফতি নাসির উদ্দিন খান জানান, চান্দনা চৌরাস্তা ঈদগাহ ময়দানে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের পুলিশ অতর্কিত লাঠিচার্জ, গুলি ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। এতে অন্তত ১৫ জন কর্মী আহত হয়েছেন।
অপরদিকে জুমার নামাজের পর মহানগরীর বোর্ড বাজারে হেফাজতে ইসলামীর কর্মী-সমর্থক ও স্থানীয় কয়েক হাজার মুসল্লি ঢাকা-ময়মনসিংহ সহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নেন। এতে হাফেজ মাওলানা আব্দুর রহিম আল মাদানীসহ স্থানীয় ওলামারা বক্তব্য রাখেন।